267 views
in ইন্টারনেট by

2 Answers

0 like 0 dislike
by নতুন সদস্য (83 points)
মেশ টপোলজি (Mesh Topology): যে টপোলজিতে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কভুক্ত অন্য প্রতিটি কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে তাকে মেশ টপোলজি বলা হয়। এতে নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলোর সাথে সরাসরি অপেক্ষাকৃত দ্রুত ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। এতে কেন্দ্রীয় সার্ভার বা ডিভাইসের দরকার পড়ে না। এই নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগকে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট (পিয়ার-টু-পিয়ার) লিংক বলা হয়। এটি সম্পূৰ্ণৰূপে আন্তঃসংযুক্ত (Completely interconnected) টপোলজি নামেও পরিচিত। প্রচুর পরিমাণ ভারের প্রয়োজন এবং বেশি কম্পিউটার ব্যবহৃত হওয়ায় এই টপোলজি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এর জটিল কনফিগারেশনের জন্য কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সাধারণত এটি ব্যবহার করা হয় না।

এই টপোলজিকে n সংখ্যক নোডের জন্য প্রতিটি নোডে (n-1) টি সংযোগের প্রয়োজন হয়। নেটওয়ার্কে মোট n(n-1) তারের সংখ্যা হবে । ডেটা যোগাযোগের নির্ভরশীলতাই যেখানে মুখ্য, সেসব ক্ষেত্রে মেশ টপোলজি ব্যবহার করা হয়। যেমন- প্রতিরক্ষা বা ব্যাংকিং -এর ক্ষেত্রে এর ব্যবহার রয়েছে।

মেশ টপোলজির সুবিধা

১. অন্যান্য সব ধরনের টপোলজির তুলনায় এতে ডেটা ট্রান্সমিশন দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হয়।

২. নেটওয়ার্কে কম্পিউটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি কমে না ।

৩. নেটওয়ার্কস্থ যেকোনো কম্পিউটার নষ্ট বা বিচ্ছিন্ন হলেও নেটওয়ার্ক সচল থাকে।

৪. কোনো সংযোগ ভার নষ্ট বা বিচ্ছিন্ন হলে বিকল্প সকল কম্পিউটারে ডেটা আদান-প্রদান অব্যাহত থাকে।

৫. নেটওয়ার্কে কেন্দ্রীয় কোনো ডিভাইস বা সার্ভারের প্রয়োজন হয় না।

মেশ টপোলজির অসুবিধা

১. বেশি পরিমাণ তার ও অতিরিক্ত লিংক প্রয়োজন হওয়ায় এটি ব্যয়বহুল।

২. নেটওয়ার্ক ইনস্টলেশন ও কনফিগারেশন অত্যন্ত জটিল।

৩. নেটওয়ার্কে কম্পিউটার সংখ্যাবৃদ্ধির সাথে সাথে স্বপ্নের পরিমাণও বেড়ে যায়।
0 like 0 dislike
by নতুন সদস্য (65 points)
ম্যাশ টপোলজি কোন ক্ষেত্রে বেশি উপযোগী তা ব্যাখ্যা করতে হলে নিম্নলিখিত বিশেষ সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ:

স্থিরতা এবং অতিরিক্ততা:

ম্যাশ টপোলজি উচ্চ স্থিরতা সরবরাহ করে। একটি লিঙ্ক বা নোড বিফল হলে, যোগাযোগটি আপনার পথ পরিবর্তন করে অন্য পথে চলতে পারে। এই পুনরায় পথ সম্রাট্য নিশ্চিত করে যে নেটওয়ার্কটি সফলভাবে চলছে যখন অক্ষমতা ঘটতে পারে।
এই অতিরিক্ততা কারণে, ম্যাশ টপোলজি মৌলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে, যেমন শিল্প ক্ষেত্র, জরুরি সেবা, অথবা গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ্লিকেশনসহ যেকোন জায়গায় অধিক হয়ে উঠতে পারে।
স্কেলিং:

ম্যাশ নেটওয়ার্ক সহজেই স্কেল করতে পারে। প্রত্যেক ডিভাইস সরাসরি প্রতিটি অন্য ডিভাইসের সাথে সংযোগ করে, তাই নেটওয়ার্ক বাড়ানো মাত্র নতুন সংযোগগুলি কনফিগার করা প্রয়োজন তারপরে।
এই স্কেলিং সুবিধা কোনও ডাইনামিকভাবে বৃদ্ধি প্রয়োজন হলে, যেমন বড় উদ্যোগ, বা যেখানে নেটওয়ার্কের আকারগুলি অনিশ্চিত।
ত্রুটি বিশ্লেষণ:

ম্যাশ টপোলজি ত্রুটি সনাক্ত করতে এবং তা আলাদা করতে সহজ করে। একটি নির্দিষ্ট লিঙ্ক বা নোডে সমস্যা হলে, এটি আপনার সম্পৃক্ত নয়। ট্রাবলশুটিং এবং মেইন্টেনেন্স অন্যান্য টপোলজির তুলনায় সহজ হতে পারে।
উচ্চ ব্যান্ডউইথ এবং কর্মক্ষমতা:

ম্যাশ নেটওয়ার্ক উচ্চ ব্যান্ডউইথ এবং কর্মক্ষমতা সরবরাহ করতে পারে কারণ ডেটা প্রেরণের জন্য একাধিক পথ আছে। এই সুবিধা সম্পৃক্তিপূর্ণ আবেগ অ্যাপ্লিকেশন বা ডেটা সেন্টারের মতো জটিল অভ্যন্তরীণ প্রয়োজনে মৌলিক।
ডাইনামিক এবং স্ব-চিকিৎসা:

ম্যাশ নেটওয়ার্ক পরিবর্তনে ডাইনামিকভাবে সহাজভাবে অভিবাদন করতে পারে। যদি একটি নতুন ডিভাইস যোগ করা হয় অথবা একটি সংযোগ ব্যর্থ হয়, নেটওয়ার্কটি নিজেই নতুন কনফিগার করতে পারে যেন সে যোগাযোগের পথগুলি অপ্টিমাইজ করতে।
এই স্ব-চিকিৎসা ক্ষমতা নেটওয়ার্কের সামগ্রিক সহায়ক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ডাইনামিক পরিস্থিতিতে অপ্টিমাইজেশন সহজতর হয়।
...