210 views
in অন্যান্য by

2 Answers

0 like 0 dislike
by নতুন সদস্য (83 points)
মেশ টপোলজি (Mesh Topology): যে টপোলজিতে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কভুক্ত অন্য প্রতিটি কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে তাকে মেশ টপোলজি বলা হয়। এতে নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলোর সাথে সরাসরি অপেক্ষাকৃত দ্রুত ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। এতে কেন্দ্রীয় সার্ভার বা ডিভাইসের দরকার পড়ে না। এই নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগকে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট (পিয়ার-টু-পিয়ার) লিংক বলা হয়। এটি সম্পূৰ্ণৰূপে আন্তঃসংযুক্ত (Completely interconnected) টপোলজি নামেও পরিচিত। প্রচুর পরিমাণ ভারের প্রয়োজন এবং বেশি কম্পিউটার ব্যবহৃত হওয়ায় এই টপোলজি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এর জটিল কনফিগারেশনের জন্য কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সাধারণত এটি ব্যবহার করা হয় না।

এই টপোলজিকে n সংখ্যক নোডের জন্য প্রতিটি নোডে (n-1) টি সংযোগের প্রয়োজন হয়। নেটওয়ার্কে মোট n(n-1) তারের সংখ্যা হবে । ডেটা যোগাযোগের নির্ভরশীলতাই যেখানে মুখ্য, সেসব ক্ষেত্রে মেশ টপোলজি ব্যবহার করা হয়। যেমন- প্রতিরক্ষা বা ব্যাংকিং -এর ক্ষেত্রে এর ব্যবহার রয়েছে।

মেশ টপোলজির সুবিধা

১. অন্যান্য সব ধরনের টপোলজির তুলনায় এতে ডেটা ট্রান্সমিশন দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হয়।

২. নেটওয়ার্কে কম্পিউটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি কমে না ।

৩. নেটওয়ার্কস্থ যেকোনো কম্পিউটার নষ্ট বা বিচ্ছিন্ন হলেও নেটওয়ার্ক সচল থাকে।

৪. কোনো সংযোগ ভার নষ্ট বা বিচ্ছিন্ন হলে বিকল্প সকল কম্পিউটারে ডেটা আদান-প্রদান অব্যাহত থাকে।

৫. নেটওয়ার্কে কেন্দ্রীয় কোনো ডিভাইস বা সার্ভারের প্রয়োজন হয় না।

মেশ টপোলজির অসুবিধা

১. বেশি পরিমাণ তার ও অতিরিক্ত লিংক প্রয়োজন হওয়ায় এটি ব্যয়বহুল।

২. নেটওয়ার্ক ইনস্টলেশন ও কনফিগারেশন অত্যন্ত জটিল।

৩. নেটওয়ার্কে কম্পিউটার সংখ্যাবৃদ্ধির সাথে সাথে স্বপ্নের পরিমাণও বেড়ে যায়।
0 like 0 dislike
by নতুন সদস্য (65 points)
মেশ টপোলজি হলো এমন একটি নেটওয়ার্ক টপোলজি যেখানে সব ডিভাইস এক অপরের সাথে সরাসরি সংযোগিত থাকে, অর্থাৎ প্রত্যেক ডিভাইস অন্য সকল ডিভাইসের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে। এই টপোলজির কিছু উপায়ে ব্যাখ্যা করা হতে পারে:

সহজ কনফিগারেশন এবং মেন্টেনেন্স: মেশ টপোলজি সহজে কনফিগার এবং মেন্টেনেন্স করা যায় কারণ প্রত্যেক ডিভাইস সরাসরি অন্য সকল ডিভাইসের সাথে সংযোগিত থাকে। এটি নেটওয়ার্কে কোন সিঙ্গল পয়েন্ট অফ ফেয়ালার নেই, যা নেটওয়ার্ক দুর্বলতা কমিয়ে তুলতে সাহায্য করে।

হাই পারফরম্যান্স: মেশ টপোলজি দ্বারা সংযোগিত ডিভাইসগুলির মধ্যে তীব্র যোগাযোগ রয়েছে, যা নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স বাড়াতে সাহায্য করে। এটি বৃদ্ধি করা যায় ডেটা ট্রান্সফারের দ্বারা এবং সময়ের মধ্যে ল্যাটেন্সি কমিয়ে তোলতে সাহায্য করে।

ভাল স্কেলিং: মেশ টপোলজি ভাল স্কেলিং সাধারিত নেটওয়ার্কের সাথে তুলনা করে, কারণ প্রতি ডিভাইস সরাসরি অন্য সকল ডিভাইসের সাথে সংযোগিত থাকে। নতুন ডিভাইস যোগ করতে হলে মূল নেটওয়ার্কে কোন পূর্বের কনফিগারেশন পরিবর্তন করতে হয় না, এটি শীঘ্রই একটি নতুন ডিভাইস যোগ করতে পারে।

উচ্চ নিশ্চিততা এবং উচ্চ উপস্থাপনা: মেশ টপোলজি কখনও একটি ডিভাইস ফেলে দিলে অথবা একটি লিঙ্ক বিফল হলেও নেটওয়ার্কের অবস্থা সঠিক থাকে কারণ অন্যান্য ডিভাইসগুলি এক অপরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে। এটি নিশ্চিততা এবং উপস্থাপনার স্তরে একটি উচ্চ মানকে নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

ফেকলভার এবং রিডান্ডেন্টি: মেশ টপোলজি ভালভাবে স্থিত থাকলে ফেকলভার এবং রিডান্ডেন্টি প্রযোজ্য করা যায়, যা নেটওয়ার্কে ফেলে দিতে বা লিঙ্ক বিফল হতে পারে এমন অপদস্থিতি ব্যবস্থাতে সাহায্য করে।

মেশ টপোলজি সব প্রকারের নেটওয়ার্কের জন্য উপযোগী হতে পারে, সহজে কনফিগার এবং মেন্টেনেন্স করা যায় এবং হাই পারফরম্যান্স এবং স্কেলিং একইসাথে সাধারিত নেটওয়ার্কের চ্যালেঞ্জ সমাধান করতে সাহায্য করে।
...